অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যাত্রায় নতুন পথের সন্ধানে বাংলাদেশ। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে ১১ দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রপ্তানি পণ্যে আসছে বৈচিত্র্য। জাপানী সংবাদ মাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেন তার পরিকল্পনা। ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান স্পষ্ট করেন। সবকিছুর ওপর শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন।
দীর্ঘ এক যুগ নিরন্তর শ্রম ও পরিকল্পনার পর উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জও কম নয়। সময় মাত্র ৩ বছর। আর এরমধ্যেই ১৭ কোটি মানুষের দেশকে শক্ত অবস্থানে নেয়াই লক্ষ্য ঠিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাপান সফরের আগে দেশটির সংবাদ মাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে অর্থনৈতিক উন্নয়নকেই গুরুত্ব দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা বাদ হওয়ার আগেই বড় অংশীদারদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও ভারত-জাপান ও চীনের দিকে ইঙ্গিত করা হয়।
রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কথা নতুন করে ভাবছে বাংলাদেশ। শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানীতে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।
ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে বিভিন্ন দেশ আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালালেও বঙ্গবন্ধু কন্যা নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। বলেন, সবার আগে দেশের উন্নয়ন।
সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে হতাশা ঝরে প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে। বলেন, বিদেশি সহায়তা কমতে শুরু করেছে।
মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ অবকাঠামো নির্মাণে জাপানের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। আসন্ন সফরে জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যাপকভাবে কৌশলগত অংশীদারিত্বে এগিয়ে নেয়ার আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
Leave a Reply